দাবী না মানলে আগামী মাসে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

দেশের তথ্য ডেস্ক:  জ্বালানী তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করা। জ্বালানী তেল বিক্রয়ের উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশনের ভবনে সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি এ ব্যবসার উপর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র যেমন- পেট্রোল পাম্প কোন ভাবেই কল-কারখানার আওতায় পড়ে না। ফিলিং ষ্টেশন সমূহ ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন তেল কোম্পানী থেকে উত্তোলন পূর্বক বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ফিলিং ষ্টেশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, অথচ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহনের জন্য ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে। যেহেতু ফিলিং ষ্টেশন কল-কারখানা নয় সেহেতু ফিলিং ষ্টেশন থেকে পরিবেশ দুষণ হওয়ার সুযোগ নেই অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহনের জন্য ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে। ফিলিং ষ্টেশনের প্রবেশ দ্বার সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহারের জন্য সড়ক ও জনপথ ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে জমির ইজারা গ্রহনের চাপ প্রয়োগ করছে অথচ ফিলিং ষ্টেশন থেকে জ্বালানী তেল সংগ্রহকারী সকল গাড়ীর রুট পারমিট রয়েছে। এমনকি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীরও রুট-পারমিট রয়েছে। ফিলিং ষ্টেশনের জ্বালানী স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোন পরিমাপ যন্ত্র নয়, তাছাড়া এটা ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে কোন ভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয় এবং যা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সুযোগ নাই, অথচ বিএসটিআই উক্ত আন্ডারসাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী সংস্থা লাইসেন্স গ্রহনের জন্য ফিলিং ষ্টেশন সমূহকে যে চাপ সৃষ্টি করছে। তাতে অচিরেই এ ব্যবসাটি কঠিন সংকটে নিপতিত হবে। তাই আমরা মনে করি জ্বালানী ও ট্যাংকলরী ব্যবসার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব ঠিক রাখতে হলে অচিরেই আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলির একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, উত্থাপিত দাবীসমূহ আগামী ৩১ জুলাই ২৩ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১ আগষ্ট ২০২৩ থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানী ব্যবসায়ীরা জ্বালানী তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন খুলন বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্জ এম মাহবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাউল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফফার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি আলহাজ্জ মোড়ল আব্দুস সোবাহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম নন্টু, মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।#

খবর বিজ্ঞপ্তি

Share this post

PinIt
scroll to top