দেশের তথ্য ডেস্ক :- ড্রেসিংরুমে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য আগে থেকেই বিখ্যাত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তামিম ইকবালকে নাকি বলে কয়েই ৬ মাস সেঞ্চুরি থেকে দূরে রেখেছিলেন জাতীয় দলের এই সাবেক ক্রিকেটার। এবার সম্ভবত মাশরাফির আরও এক ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হবার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিশ্বকাপে সাকিবের অধিনায়কত্ব নিশ্চিত হলেই মিলবে যার প্রমাণ।
গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে টাইগার ক্যাপ্টেনের বছর চারেক আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাস। যেখানে নড়াইল এক্সপ্রেস লিখেছেন, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটা সাকিব আল হাসানের অধীনেই খেলবে বাংলাদেশ দল।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা পান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেদিনই নিজের ভ্যারিফাইড প্রোফাইল থেকে মাশরাফি লিখেছিলেন, দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান…!!!
সম্প্রতি তামিম ইকবালের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার কারণে আরও একবার নতুন করে বাংলাদেশের অধিনায়ক হতে পারেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের ভূমিকায় আছেন সাকিব। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার কাঁধে নেতৃত্বের ভার এলে অবাক হবার কিছু থাকবেনা।
যদিও তামিম ইকবালের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অধিনায়ক ইস্যুতে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। নতুন অধিনায়ক ইস্যুতে গত বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ‘এটা তো এখনো বলা কঠিন। ও (তামিম) যদি বলত যে ও এশিয়া কাপটা খেলছে না, তাহলে আমাদের অবশ্যই একজন তো আছেই লিটন দাস- ওই হত। কিন্তু এটা তো হচ্ছে না। ও যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছে এটা আমি আজই জানলাম, আমার বাসায় আসার পর।’
বিসিবি সভাপতির প্রত্যাশা খুব দ্রুতই নাম জানানো হবে নতুন অধিনায়কের, ‘তামিমের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাকিবকেই বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হবে, এমনটাই মত ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। তাই যদি সত্য হয়, তবে আরও একবার মাশরাফির ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হতে দেখবে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে হয়ত মাশরাফির কথার সূত্রে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও দেখবেন টাইগার ভক্তরা।